ব্লগ এবং ব্লগিং কি সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নিন

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম অনেকদিন পর ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে তাও ছোটকাট একটা টিউন নিয়ে তার আগে একটু জেনে নেয় আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়াই অনেক ভাল আছি, চলুন তাহলে টিউনে ফিরে যায় আজকের টিউনটা মোটামোটি জরুরি মনে করলাম তাই দিয়ে ফেললাম আশা করি ভাল লাগবে আপনাদের..জলদি টিউনটি পড়ে ফেলুন ...


ব্লগ কি:


ব্লগশব্দটি ইংরেজি Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি Weblog এরসংক্ষিপ্ত রূপ। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন।

ব্লগিং কি:


ব্লগিং জিনিসটা যদি সংক্ষেপে বলি তাহলে বলব বিভিন্ন ব্লগে বা ওয়েভ সাইটে যা লেখা লেখি হয় তাই হল ব্লগিং । এই ছাড়া নিজের প্রত্যাহিক জীবনের কিছু ঘটনা বা একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করাকে ব্লগিং বলে। এই ব্লগিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে, যেমন সাহিত্য, রাজনীতি, আপনার জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা একটি ডায়েরির মত সব কিছু গুছিয়ে রাখা, এবং তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান সম্বন্ধে লিখা ইত্যাদি।

ব্লগার কি এবং কারা:


ব্লগিংতো সম্বন্ধে জানলেন আর এই ব্লগিং যারা করে বা যারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েভ সাইটে লেখালেখি করে এবং এই ব্লগ গুলো যারা বানায় তারাই হল ব্লগার অর্থাৎ যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে বলা হয় ব্লগার, ব্লগিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করা যায় যেমন মনে করেন আপনি কম্পিউটার সম্বন্ধে বা নতুন টেকনোলোজি সম্বন্ধে ভাল জানেন এবং এই জানাটা আপনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগে বা ওয়েভ সাইটে লেখালেখির মাধ্যমে প্রকাশ করলেন তখন আপনি হবেন একজন ব্লগার বা টেকব্লগার এইভাবে আপনি অন্য যে কোন বিষয় সম্বন্ধে লিখলেও আপনি হবেন ব্লগার তারমানে আপনাদের জিনিসটা খোলাসা করে বলি সংবাদ পত্রে যারা কলাম লিখে তাদেরকে কলামিস্ট বলা হয় এবং এই সংবাদ যারা সংগ্রহ করে তারা হল সাংবাদিক আবার সংবাদিকরাও সংবাদ পত্রে লিখে সুতারাং কলামিস্ট আর সংবাদিক তেমন কোন বড় কোন পার্থক্য নেই হয়তাবা অনেকেই বলতে পারে কলামিস্ট এবং সংবাদিক একজিনিস না এইক্ষেত্রে আমি তর্কে যাবনা কারণ আমি শুধুমাত্র উদাহারণ দিচ্ছি ধরে নিন যারা সংবাদ পত্রে লিখে তারা হল সংবাদিক একইভাবে যারা ইন্টারনেটে লিখে তারা হল ব্লগার, সংবাদপত্রে ভাল খারাপ লিখা হয় এবং বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে একি ভাবে ইন্টারনেটে লেখা হয় বিভিন্ন বিষয়ে তার মধ্যে আছে ভাল এবং খারাপ সুতারাং ব্লগার বললে খারাপ ভাবার কিছুই নেই আমি এই কথাটি কেন বলেছি? হয়ত আপনাদের প্রশ্ন জাগতে পারে তাই আমি উত্তর দিচ্ছি এখন ব্লগার শব্দটা শুনতে এখন অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে বা ব্লগার বললেই অনেকে খারাপ চোখে দেখে কারণ তারা জানে না ব্লগার কি জিনিস তারা শুধু বোঝে ব্লগার হল নাস্তিক ইসলাম বিরুদ্ধী কিছু লোক এই ধরনের, কারণ কিছু ব্লগার ইসলাম বিরুদ্ধী লেখালেখি করেছে এবং কিছু ইসলাম বিরুদ্ধী ব্লগ তৈরী করেছে যাদেরকে সাধারণ মানুষ ঘৃণা করছে তার সাথে সাথে আমরাও তাদের ঘৃণা করি কারণ ধর্ম নিয়ে এমন কটুক্তি বাক্য লেখালেখি কেউ সহ্য করবেনা, আশা করি ব্লগার সম্বন্ধে আমি আপনাদের কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি।

ব্লগিং এর প্রকারভেদ :


ব্লগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে নিচে কয়েকটি ব্লগ প্রকারভেদ আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম- ১)ব্যক্তিগত ব্লগ : নিজের ব্যক্তিগত বিষয় তুলে ধরা অথবা নিজের জ্ঞানকেঅন্যের কাছে তুলের জন্য যে ব্লগ তৈরী করা হয় তাই ব্যাক্তিগত ব্লগ । ২)নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ব্লগ:এই ধরনের ব্লগ সাধারণ বেশি দেখা যায় যেমন টেকিব্লগ, ফটো ব্লগ, আর্ট ব্লগ, ভিডি ও এমপিথ্রি ব্লগ, এন্টারটেইটমেন্ট ব্লগ(মুভি এবং নাটক ব্লগ গুলো হয়)
৩)কোম্পানী/প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগ: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজেদের যাবতীয় তথ্য নিয়ে গঠিত ব্লগ হল কোম্পানী/প্রতিষ্ঠানিক ব্লগ । ৪) সামাজিক ব্লগ: সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের আচার আচরণ চলাফেরা সামাজের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে তৈরী ব্লগ গুলো হল সামাজিক ব্লগ ।

ইতিহাস:


ওয়েবলগ" শব্দটা জোম বার্গার ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এ প্রথম ব্যবহার করেন। শব্দটার ছোট্ট সংস্করণ "ব্লগ" চালু করেন পিটার মেরহোলজ, ঠাট্টাকরে তিনি তাঁর ব্লগ PeterMe.comএর সাইডবারে ১৯৯৯-এর এপ্রিল বা মে মাসের দিকে ওয়েবলগ (weblog) শব্দটা ভেঙে উই ব্লগ (we blog) হিসেবে লেখেন। তার ঠিক পরপরই, পাইরা ল্যাবস-ইভান উইলিয়ামস "ব্লগ" শব্দটা বিশেষ্য এবং ক্রিয়া দুটো হিসেবেই ব্যবহার করা শুরু করেন ("ব্লগ করা", মানে দাঁড়ায় "কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া") এবং পাইরা ল্যাবের ব্লগার পণ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে "ব্লগার" শব্দটা ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন পরিভাষাটি। বর্তমানে ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা সম্ভব, বিশেষ করে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ব্লগিং করে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে কিন্তু এই আয় এর পিছনে তাদের রয়েছে মহান ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রম, তাই একটা কথায় বলব তাদের প্রতি যারা অনলাইনে ব্লগিং করে আয় করতে চান সেটা হল কোন ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অসম্ভব ধৈয্যশীল হতে হবে সফলতা দেখার আগ পযন্ত হাল ছাড়বেন না মাঝ পথে ভেঙ্গে পড়বেন না মাঝপথে ভেঙ্গে পড়াটা হল আপনার সফলতার খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসার মত । আজ এইটুকুতেই রাখছি আমি ছোটখাট একজন মানুষ অনেক কিছুই বলে ফেললাম আশাকরি ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন …সবাই ভাল থাকবেন…সবার শোভকামনায় শেষ করছি আজ ..আল্লাহ হাফেজ….

 

Safiul Hasan Rejvi

আমি একজন সাধারণ মানুষ ...সাধারণ মানুষ হিসেবে থাকতে চাই সব সময়........

Post a Comment

Previous Post Next Post